ডিজিটাল ডিভাইসের সঙ্গে বাড়ছে সাইবার হামলাও
ডিজিটাল ডিভাইসের সঙ্গে বাড়ছে সাইবার হামলাও

ডিজিটাল ডিভাইসের সঙ্গে বাড়ছে সাইবার হামলাও
ঢাকা: প্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে সাইবার হামলাও বাড়ছে। অনলাইনে সব সময় ওঁৎ পেতে রয়েছে সাইবার অপরাধীরা।
তাই সাইবার হামলা মোকাবিলায় তরুণ-তরুণীদের পাশাপাশি ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারকারীদের আরেও বেশি সতর্ক ও সচেতন হতে হবে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিন্টোল হোটেলে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টারের উদ্যোগে এবং টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ-টিএমজিবির সহযোগিতায় গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ডিজিটাল লিটারেসি ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ গুরুত্বারোপ করেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। তিনি বলেন, আমাদের ডিজিটাল ডিভাইসগুলোও এখন নিরাপদ নয়। ডিজিটাল ডিভাইসের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। এ ব্যাপারে দেশব্যাপী সচেতনতা বাড়াতে সরকার তৎপর আছে।
সাইবার হামলা এড়াতে সরকার সতর্ক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাইবার হামলা নিয়ে প্রতিমাসে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। সেই রিপোর্টে উল্লেখ থাকে কোথায় কোথায় হামলা হয়েছে। সাইবার জগতে বড় ধরনের অঘটন এড়াতে সবার সম্মিলিত সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, সংবাদকর্মীদের জন্য আইসিটি বিভাগের এমন আয়োজন সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে সহযোগিতা করবে।
টিএমজিবির সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক মোহাম্মদ খায়রুল আমীন, টিএমজিবির সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন হক জুনায়েদ এবং নিরাপদ ই-মেইল ও ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন বাংলাদেশ সরকারের জন্য নিরাপদ ই-মেইল ও ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন প্রকল্প ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কনসালটেন্ট জহিরুল ইসলাম খান।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ৫০ জন কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীরা সাইবার নিরাপত্তা, সাইবার বুলিং, গুজব, অনলাইন প্রাইভেসি, ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জনে সক্ষম হন এবং বাস্তব জীবনে এই জ্ঞানের প্রয়োগের মাধ্যমে ডিজিটাল জগতকে আরো নিরাপদ করে তুলতে পারবেন গণমাধ্যমকর্মীরা। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী গণমাধ্যমকর্মীদের পরে ডিজিটাল লিটারেসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।