আমি অতি সাধারণ (কবিতা )
আমি যে আটপৌরে মানুষ, অতি সাধারণ তাইতো ভালবাসা বুকেই রাখি গোপন, তোকে যে ভালবাসি বুঝেছিস কি তুই?

আমি অতি সাধারণ ( কবিতা )
আমি যে আটপৌরে মানুষ, অতি সাধারণ
তাইতো ভালবাসা বুকেই রাখি গোপন,
তোকে যে ভালবাসি বুঝেছিস কি তুই?
তোকে জড়িয়ে থাকি, আদর করে ছুঁই।
বয়সের ভারে ভালবাসায় পড়েছে জলছাপ
সবাই করে শুধু ভালবাসার পরিমাপ,
জানিতো, তুইও আমার দিকে তাকাস না
কিচ্ছুটি আসে যায় না তোর,
সূর্য ডোবে, চাঁদ হেসে আকাশে শোভা পায়
আবার আঁধার কেটে হয় ভোর।
কখনও বুঝেছিস আমার মনের ব্যথা?
জানি তোর চুপ থাকাটাই শেষকথা!
তোর চারপাশে অনেক মানুষ----
তারা তোকে দেয় রঙীন ভালবাসা,
আমি যে আটপৌরে মানুষ, অতি সাধারণ
আমার থাকতে নেই কোনো অনুভূতি,
কাঁদা হাসা.......!
কেউ ফিরেও তাকায় না আমার দিকে
কেউ ডাকে না, "কাছে আয়।"
আমার বুকেও জ্বলে আগ্নেয়গিরি
প্রবল বাতাসে ওড়ে ছাই.....
আসলে যারা অতি সাধারণ, সরল-সোজা
তাদের যে বোঝা বইতেই হবে,
চাঁদের মতো কলঙ্কের ভাগ
বিনাদোষে যে নিতেই হবে....
কলঙ্কে পাইনা ভয়
বদনাম যে আমার ভূষণ,
আমি যে তোকেই চাই---
চোখ রাঙিয়ে করবি আমায় শাসন।
থাকবি আমার আশেপাশে
কান পেতে শুনবো তোর পদধ্বনি,
তোর নৃত্যের তালে তালে
আসবে কানে তোর নূপুরধ্বনি !
রাগ-রাগিনীরা উড়ে যাবে ডানা মেলে
ছায়াঘেরা সবুজ বনের বুক চিরে,
সবার হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হবে
আকাশ বাতাস পাহাড়ে ঘুরে ফিরে।
তোর পায়ের আলতার ছাপে
জন্ম নিক মুঠো মুঠো ভালবাসা,
আমার মনের ক্যানভাসে তোকেই আঁকবো
তুই হবি আমার মোনালিসা।
জানি, এসব শুধু স্বপ্নই----
স্বপ্ন দেখা নেই কারও বারণ,
আমি জানি, আমি আটপৌরে মানুষ
আমি যে অতি সাধারণ.........